সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ (সিএসবিআইবি)-এর উদ্যোগে সুকুকবিষয়ক একটি কনফারেন্স ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্ক্যালিং আপ দি ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ থ্রু সুকুক।’
মঙ্গলাবার উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল্লাহ শরীফ, সিএসএএ, সিআইপিএ। প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবু ইউসুফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব মিশন ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মিস নুরুন নাহার। রিসেন্ট ইনোভেশন্স ইন সুকুক স্ট্রাকচারিং-এর ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্কুল অব গ্রাজুয়েট অ্যান্ড প্রফেশনাল স্টাডিজ ইনসেইফ ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া-এর প্রফেসর ড. ওবায়াতুল্লা ইসমাত বাচা। প্রবন্ধের উপর মতামত প্রদান করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ডিপার্টমেন্ট অব ইকনোমিক্স-এর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকোনোমিস্ট‘স ইউনিট-এর ডিরেক্টর ড. মো. গোলজারে নবী।
উদ্বোধনী পর্বটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন ইমপ্রেস ক্যাপিটাল লিমিটেড (আইসিএল)-এর এমডি ও সিইও এবং সাবেক সচিব আরাস্তু খান এবং ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি-এর ইভিপি ও হেড অব ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশন একেএম মীজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ২য় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর মিস নীরু নাসরীন। প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘লেসনস লার্নড ফ্রম পাস্ট গভর্নমেন্ট সুকুক ইস্যুয়েনসেস, দি থিংস নিড টু বি ডান অ্যান্ড দি মিনস অব ট্যাপিং দি রিটেইল সেক্টর অ্যাজ ইনভেস্টরস ইন সুকুক’। সেশন চেয়ার ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্যানেলিস্ট ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিরেক্টর এবং বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট সুকুক শরিআহ অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ড. মুহাম্মদ আমির হোসাইন, সিএসএএ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ইস্তেকমাল হোসাইন এবং অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্ট-এর ডিরেক্টর মিস মাসুমা সুলতানা, সিএসএএ।
“লিগ্যাল ট্যাক্স অ্যান্ড গর্ভনেন্স ইস্যুজ ইন সুকুক অ্যান্ড আদার ইসলামিক সিকিউরিটিজ”-এর ওপর একটি মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর শেখ মো. লুৎফুল কবীর। সেশন চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. আব্দুল আউয়াল সরকার।
এ পর্বে প্যানেলিস্ট ছিলেন প্রাণ আরএফএল গ্রুপ-এর ডিরেক্টর মিস উজমা চৌধুরী, সিপিএ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সাবেক এমডি ও সিইও, এসএসবি, বিবিএমএল সুকুক-এর চেয়ারম্যান এবং এসএসবি, বেক্সিমকো সুকুক-এর সদস্য মু. ফরীদ উদদীন আহমাদ, বিএসইসির শরিআহ এডভাইজরি কমিটি এবং সিটি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (সাদিক)-এর শরিআহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. মুফতী ইউসুফ সুলতান।
অনুষ্ঠানে ৪র্থ মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ইনসেইফ ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়ার রিসার্চ ফেলো ও সিএসবিআইবি-এর রিসার্চ অ্যাডভাইজর মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ, সিএসএএ, সিআইপিএ। তার প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল “ইমপ্যাক্ট অব আউইফিস নিউ শরিআহ স্ট্যান্ডার্ডস ইন সুকুক স্ট্রাকচারিং”। এতে সেশন চেয়ারম্যান ছিলেন ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও মুহতারামা হুমায়রা আজম এবং প্যানেলিস্ট ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অব শরিআহ সেক্রেটারিয়েট মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা, সিএসএএ, ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড-এর এমডি ও সিইও মোহাম্মদ আবদুর রহীম, এফসিএ, বিআইবিএম-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মো. মহব্বত হোসাইন সিএসএএ, সিআইপিএ।
সমাপনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃব্য রাখেন সিএসবিআইবি-এর ভাইস চেয়ারম্যান ও বেক্সিমকো সুকুক শরীআহ সুপারভাইজরি বোর্ড-এর চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, সিএসএএ এবং ইনসেইফ ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়ার স্কুল অব গ্রাজুয়েট অ্যান্ড প্রফেশনাল স্টাডিজ-এর অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ড. ঝাং হেংগচাও (আলী ঝাং)। আলী ঝাং-এর বক্তৃতার বিষয় ছিল- “বেল্ট-রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং অপরচুনিটিজ ফর সুকুক”। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শাসসুদ্দীন আহমেদ। তার বক্তৃতার বিষয় ছিল “টুওয়ার্ডস এ কানেকটেড, ভাইব্রেন্ট অ্যান্ড ইনোভেটিভ ইসলামিক ফাইন্যান্স সিস্টেম: রোল অব সুকুক অ্যান্ড ইসলামিক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্ট্রুমেন্টস”।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্য রাখেন সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।